বাক্‌ ১০৮ : সুব্রত সরকার



নাম, পদ্মে ভ্রমর এসে বসে

বায়সেরা বলে- তুমি মূর্খ, তোমার কিছু
অভিজ্ঞান নেই, নিচু সময় আঁকড়ে ধরে মৃত্তিকা, জনহিতকর
বাণী, যা আসলে ফলস্‌, কবির মর্মাহত আত্মা
সেখানে দোল খায়, শৃগালের দেবতারা ভাবে শৃগালই হলো
পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ প্রাণী, মুখে স্বর্ণ, সোহাগ
লেগে আছে আবহমানের।

আমি দুরাশার তৃণে অপ্রতিহত ব্যথার আরক
সামান্য শুদ্ধ এক পৌরুষ, কুয়াশা, মেঘ ও পিপাসা রচনা করি
এই মর্মে শুধু ভালবাসার জন্যই বারবার আসা
কখনও ভুজঙ্গ, পক্ষী, কূর্মাবতার, কুক্কুর, ঔষধী, কারণ মায়া-
চুম্বনের স্বাদ একইরকম মৃদু, কষায়, লবণ, মিষ্টান্ন ইত্যাদি...

আর যোনির ভিতর চাঁদ ওঠে, বৃহস্পতি অস্ত যায় প্রতিদিন
ক্রোধ শিখরে, প্রেতের খুব সর্দি লেগেছে, সে
কাশে, হবিষ্যি খায়, বড়রা ক্রিকেট খেলবে শিবালিক
পাহাড়ের মাঠে অনন্ত, জ্যোৎস্না নামল
ক্ষণিক এই জীবনের তাপ, তৃষ্ণা মুছে যায় নাম, পদ্মে ভ্রমর
এসে বসে, অলীক, তোমার কি কিছু মনে হয়?

হে বজ্র, দু’হাত কবিতা লিখি বলে যেমন কিছু দুঃখ
হয় না, তুমিও নিহত অগ্নির পার্শ্বে মহাজীবনের কণা দেখতে পাওনি
প্রতাপ, ঘুমিয়ে পড়ো আনন্দে, ব্যথায়
কাৎরে ওঠে সময়, হৃদয় বল্কলে ক্ষুধা ডেকে ওঠে, কিন্তু
সৌজন্য থেকে কামনায় মৌরি ঝরে
পড়ে, লাচ, বোকা, সব কথা বলতে নেই, অহর্নিশ।


                                                (চিত্রঋণ : মার্ক রথকো)

6 comments: