বাক্‌ ১০৮ : জহির হাসান



সন্ধ্যায় অন্ধ ভাইয়ের সাথে


আমি যেই পথে 
অন্ধ ভাইরে নিয়া বাড়ি ফিরি সেই পথেও সন্ধ্যা নামে
তারে আমি বহুচোখী আনারস খেতের পাশ দিয়া
দ্রুত হাঁটায়ে নিই যেন সে বিভ্রান্ত না হয়!
গায়ে পড়ি সে কি
আনারস বিষয়ে কোনো প্রশ্ন করতে চাইছিল?
আমার শরীরের / ভাগ পানি
ওরে বুঝায়ে দিই, আমরা মূলত দিঘি
চাঁদ-ডুবি হইলে
চাঁদ তবু উলি থাকে চোখে
আমরা য্যানে থামি
একটা হাটের পাশে
যেইখানে ইলেকট্রিক বাল্বের নিচে 
সবজি বেচতছে চাচাত ভাই
নিয়তিরে খুশি করার বশে
বেগুনের পাশে যেন
পোকা বেগুনও বসি আছে



ঘুমানোর আগে যা যা করলাম

ঘুমানোর আগে আমি চাকার ভিতর ঢুকি।
বল খেলি 
খেলার একটা শেষ রয় 
 সেই পর্যন্ত
আমি পানি খাই চা দোকানে
দেখি শক্ত বেঞ্চের পর বসি
আমার মতো
নরম চা খায় কারা কারা।
শক্ত টোস্ট 
নরম হয় চায়ের ভিতর আসি
আমি বাড়ি যাই
একটাই কাপ আমাদের বাড়িতে
সবাই চা খায়
এক কাপে
আমার বাগানে
একটাই সাপ ঘোরে
একটাই বেজি আমি পুষি
কারণ 
আমার উঠানে অনেক ফাঁকা
বেজি সাপরে কামড়াইতে গেলে
সাপ দৌড়াই পালাইতে পারে যেন
বেজিও পারে
আমার উঠানের আকাশে
আমি মেলি আমার মুখ
চোখ 
যেন কিছু 
দিতে পারি
নিতেও পারি
ফলে আকাশের কমতি পড়ে না কিছুতেই!


                                                (চিত্রঋণ : পাবলো পিকাসো)

5 comments:

  1. This comment has been removed by the author.

    ReplyDelete
  2. আহা


    আমি পানি খাই চা দোকানে
    দেখি শক্ত বেঞ্চের পর বসি
    আমার মতো
    নরম চা খায় কারা কারা

    ReplyDelete